শেরপুরে চলছে তিনদিন ব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। শেরপুর ডিসি উদ্যানে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই মেলায় জেলার উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ প্রতিযোগীরা তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে। বাহারী রঙের বিভিন্ন চিন্তার উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে জেলার সব ক্ষুদে উদ্ভাবকরা।
তিন ব্যাপী চলমান এই মেলাকে আরো শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় ও অর্থবহ করে তুলতে জেলা প্রশাসন প্রতিদিন বিকেলে আয়োজন করছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার। ঠিক তেমনি সোমবার বিকেল ৫ টায় আয়োজন করা হয় বিজ্ঞান বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২শতাধিক শিক্ষার্থী।
বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিট। এনডিসি মাসুদ রানা’র ঘোষনার সাথে সাথে কুইজের প্রশ্ন ও উত্তর পত্র অংশগ্রহণকারীদের হাতে তুলে দেয় স্বেচ্ছাসেবকরা। শুরু হয় সময় গণনা। কুইজের সময় ২৫ মিনিট। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে আসেন বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পাশাপাশি চেয়ারে একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে উত্তর করার সময় উত্তরপত্র জমা নিয়ে তার পরীক্ষাও বাতিল করা হচ্ছে।
বিকেল ৫ টা ২০ মিনিট। পুরো ডিসি উদ্যান জুড়ে ভারী নিরবতা। আগত দর্শণার্থীদের সবাই ভীড় করে দেখছেন, কে কিভাবে উত্তরপত্রে লিখছেন। ঘোষনা মোতাবেক উত্তরপত্রে না লিখায় এবং অন্যের সাহায্য নেয়ায় প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা পড়েছে প্রথম ১০ মিনিটেই।
এভাবেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের কুইজ প্রতিযোগিতা। উত্তরপত্র জমা দেবার পর অনেকেই বলছেন, উফ! শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। এমন পরীক্ষা জীবনেও দেইনি। তবে ভালো ছিল। এই অভিজ্ঞতাকে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো যাবে।