নাঈম ইসলাম : বুধবারই হতে পারে ঈদ। আর ঈদের দিন সকাল হলেই সবাইকেই দেখা যাবে নতুন সাজে। কিন্তু মেয়েদের বেলায় সাজের মাত্রাটা একটু ভিন্ন। এমন এক বিশেষ দিনে যেটি ছাড়া মেয়েদের হাত একদম খালি লাগে, সেটি হচ্ছে মেহেদি।
ইতোমধ্যে ঈদের কেনাকাটা শেষ হলেও এখনও তালিকায় রয়েছে হাতে দেওয়ার মেহেদি। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের বাকি আছে আর মাত্র এক বা দুইদিন। ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেওয়া ছোট বড় সকলের কাছে একটি অন্যতম আনন্দের মুহূর্ত। চাঁদ রাতে দেওয়া মেহেদির রং কার হাতে কতটা গাঢ় হয়েছে তা নিয়ে থাকে ব্যাপক উৎসাহ।
এদিকে, শিশু-কিশোর আর তরণীদের চাহিদা মেটাতে দোকানগেুলোতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেহেদি। মেহেদি বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরাও।
শুধু কসমেটিকস দোকানগুলোই নয়, পাশাপাশি শহরের বিউটি পার্লারগুলোতেও মেয়েদের ভিড় লেগে গেছে হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য।
ঈদকে ঘিরে দোকানগুলোতে- রাঙাপরী, কিরণমালা, শাহজাদি, পটলকুমার গানওয়ালা, পাখি, এলিট, একটিভ গোল্ড, আলফা, মমতাজ, ম্মার্ট, লীজানসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে মেহেদি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মেহেদি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
ক্রেতা টানতে কেউ কেউ বিভিন্ন অফারেও বিক্রি করছে মেহেদী । আবার মাইকিং করে হকারাও মেহেদী বিক্রি করছে।
মা’র হাত ধরে মেহেদি কিনতে আসা ছোট্ট শিশু জান্নাতুল তুয়া বলে, ‘আমি মেহেদি কিনতে মামুনি’র সঙ্গে এসেছি। ঈদের দিন দু’হাতে আপ্পি আমাকে মেহেদি দিয়ে দিবে। সবার সঙ্গে মজা করব।
মেহেদি নিতে আসা আইরিন সুলতানা নামে এক নারী বলেন, হাতে মেহেদি দেওয়া সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে শখের বশেই ঈদ উপলক্ষে হাতে মেহেদি দেই। আমি ঢাকা থেকে আসলাম, হক কসমেটিক থেকে ২ টি লিজান একটিভ গোল্ড মেহেদী কিনে নিলাম।
মারুফা এন্টারপ্রাইজ’র প্রোপাইটার রাজু সরকার বলেন, ঈদুল ফিতরে মেহেদির অনেক চাহিদা থাকে। ঈদের আগেই মেহদি বেশি বিক্রি হয়।
ভ্রাম্যমাণ মেহেদী বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, আমি ঈদের আগে মেহেদি বিক্রি করি। এবার অনেক সাড়া পাচ্ছি। আশা করি চাঁদ রাত পর্যন্ত বিক্রি হবে মেহেদি। শিশুদের পাশাপাশি নারী ও পুরুষরাও হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছে।