শেরপুরের নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের কৈয়াকুড়ি কোনাপাড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে রবিউল ইসলাম (২০) ওরফে ময়না নামে এক কলেজ ছাত্রকে ৩০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। সে ওই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। আজ (৫ ফেব্রুয়ারী) সোমবার বিকেলে শেরপুরের শিশু আদালতের বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মুসলেহউদ্দিন আসামীর অনুপস্থিতিতে ওই রায়ে ঘোষনা করেন। রায়ে বিচারক দন্ডিত যুবককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।
শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, ২০১৫ সালের ৩০ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিবেশীর বাড়ী থেকে ওই স্কুল ছাত্রী নিজের বাড়ীতে ফিরছিল। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা রবিউল ইসলাম শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি ঘটনাটি তার মাকে খুলে বললে পরদিন নকলা থানায় রবিউলকে একমাত্র আসামী করে ধর্ষিতার মা একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন ভিকটিম ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।
তদন্ত শেষে নকলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম সালাম একই বছর ৩০ নভেম্বর রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ভিকটিম. চিকিৎসক ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
মামলায় আসামী পরে আইনজীবি অ্যাডভোকেট আমরাফুন্নাহার রুবি বলেন, তাঁর মক্কেল রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।