নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উপলব্ধি ও সংগ্রামী ইতিহাস তুলে ধরতে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বিজয় ফুল তৈরী প্রতিযোগিতা’ ও বিজয় ফুল উৎসব’ আয়োজন উপলক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৪ অক্টোবর রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জন কেনেডি জাম্বিল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) বিল্লাল হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেজুতি ধর, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল মাহমুদ, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া শিবু, জেলা তথ্য কর্মকর্তা তাহলিমা জান্নাত লিমা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আসলাম খান, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সঞ্চিতা হোড় দীপু, সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজুয়ান প্রমুখ। ওইসময় কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এবারের বিজয় দিবসে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর সেনানী এবং সাধারণ মানুষকে স্মরণ করা হবে নতুন আঙ্গিকে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি ‘বিজয় ফুল’ তৈরি করা হবে। সেই ফুল ধারণ করবে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তাদের অভিভাবক এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিজয় ফুল ছড়িয়ে দেয়া হবে। শিশুদের তৈরি বিজয় ফুলের কিছু শুভেচ্ছা মূল্যে বিক্রি হবে। বিক্রয়লব্ধ অর্থ ব্যয় করা হবে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বা প্রতিবন্ধীদের সহায়তায়। জাতীয় ফুল হিসেবে শাপলাকে ‘বিজয় ফুল’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ৬টি পাপড়ি ও কলি নিয়ে হবে বিজয় ফুল। ফুলের পাপড়ি ৬টি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে স্মরণ করাবে। আর মাঝখানের কলিটি হবে ৭ মার্চের প্রতীক- উন্নত মম শির। ১৭ অক্টোবর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওই বিজয় ফুল তৈরির প্রতিযোগিতা শুরু হবে। এতে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। ৩টি গ্রুপে বিভক্ত ওই প্রতিযোগিতায় ক গ্রুপে থাকবে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি, খ গ্রুপে থাকবে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি ও গ গ্রুপে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। ২০ অক্টোবর উপজেলা, ২৩ অক্টোবর জেলা, ২৭ অক্টোবর বিভাগ ও ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় পর্যায়ে ওই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জাতীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ ঘোষণা করা হবে। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।