শেরপুর শহরের প্রবশে মুখে আমনকুড়া বিলে ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য শহরের বাইরে ডাম্পিংয়ের জন্য অবশেষে শহরতলির মৃগী নদী সংলগ্ন অস্টমীতলায় ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন প্রায় ৬ কোটি টাকা মুল্যে অধিগ্রহণকৃত এ জমি পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ উপলক্ষে ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার অধিগ্রহণকৃত জমির পাশের এক অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন অধিগ্রহণকৃত জমির দলিল পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়ার নিকট হস্তান্তর করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. হেলাল উজ্জামান, সদর ইউএনও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, কালেক্টরেটের অন্যান্য সহকারি কমিশনার, সার্ভেয়ার এবং পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা ও স্থানীয় সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, শেরপুর শহরে প্রবেশ করতেই ময়লার স্তুুপ। ্এটি শহরের নান্দনিকতাকে নষ্ট করছিলো। নতুন ডাম্পিং ষ্টেশন নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহন করে সরেজমিনে পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করা হল। আশাকরি দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করে পৌরসভা জনসাধারনের জন্য নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন বলেন, ইউজিআইআইপি প্রকল্পের আওতায় শহরের অস্টমীতলায় ময়লা-বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করার জন্য জমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে ৬ কোটি টাকা জেলা প্রশাসনের নিকট জমা দেওয়া হয়েছিলো। জেলা প্রশাসন ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। সেখানে মৃগী নদীর তীরে বাঁধ ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে ময়লার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। খুব শীঘ্রই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। আশা করছি, এ বছরই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ডাম্পিং স্টেশনটি চালু হলে শহরের প্রবেশমুখ গৃর্দানারায়ণপুরের আমনকুড়া বিলে আর ময়লা ফেলা হবেনা।
প্রসঙ্গত: শহরের প্রবেশমুখে আমনকুড়া বিলে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা-বর্জ্য ডাম্পিং করায় পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। এনিয়ে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের স্ট্যাটাস প্রকাশ হলে বিষয়টির গতি পায়।
শেরপুর টাইমস/ বা.স
শেরপুর টাইমস - শেরপুর জেলাভিত্তিক প্রথম অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। শেরপুরের সংবাদের প্রাধান্য দিয়ে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাঠকের কাছে তুলে ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। এছাড়া তারুণ্য ভিত্তিক ইতিবাচক গল্প, শেরপুরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও পর্যটনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা অঙ্গিকারাবদ্ধ।