শেরপুরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট , পরিবেশ দূষণ ও শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়ার ঢেউপা এবং বালিজুড়ির মার্সি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাহাড়ী আদিবাসীরা ।
আজ দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শেরপুরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রীবরদীর পাহাড়ী সমাজ, বাগাছাস, বর্মণ ছাত্র পরিষদের আয়োজনে ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখা, জনউদ্যোগের সহযোগিতায় এ বিক্ষোভ সমাবেশ পালিত হয়।
শ্রীবরদী পাহাড়ী সমাজের আহ্বায়ক উন্নয়ন দালবৎ এর সভাপতিত্বে ও আনসেং সাংমার সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি,বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ।
এছাড়াও শেরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, শেরপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন , বর্মণ ছাত্র পরিষদের মিঠুন বর্মণ, পবিত্র বর্মণ, বাগাছাসের জীবন ম্রং, অনিক চিরান বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তরা রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাট , পরিবেশ দূষণ ও শ্রীবরদীর কর্ণঝোড়ার ঢেউপা এবং বালিজুড়ির মার্সি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বালু খেকো ও তাদের সহযোগীদের হুশিয়ার করে অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং প্রশাসনের কাছে কেন বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছেনা তার কারণ জানতে চান।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড.মল্লিক আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে শেরপুর টাইমসকে বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের আমরা কোনভাবেই ছাড় দিবনা । প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত আছে , এই পর্যন্ত অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত ৩৭ টি মেশিন জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।