শেরপুরে কলেজছাত্রী ও শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের পৃথক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ (জামালপুর-শেরপুর) এর সদস্যরা। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাতে রাজধানী ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুরের ভোগড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার নয়নবাড়ী গ্রামের পরেশ তিলক দাসের ছেলে বাবুল তিলক দাস (২৬) ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ডেফলাই গ্রামের গোলাপ হোসেন (৪০)।
বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে র্যাব-১৪ এর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান শেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। একইদিন দুপুরে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দের পর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৪’র কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, নকলা উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের বাসিন্দা এক কলেজছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট তাকে ফুসলিয়ে অপহরণ করে গাজীপুর নিয়ে ধর্ষণ করে বাবুল তিলক দাস। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল পলাতক বাবুল তিলক দাসকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
অপরদিকে, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল ঝিনাইগাতীতে এক হতদরিদ্র পরিবারের শিশুকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর ঢাকার নর্দ্দা নিয়ে ধর্ষণ করে গোলাপ হোসেন। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মামলায় ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর গোলাপ হোসেনের অনুপস্থিতিতে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন ও অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের সাজা প্রদান করে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
পরে র্যাবের তথ্য প্রযুুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্ত করে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি বাবুল তিলক দাসকে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকা থেকে এবং আসামি গোলাপ হোসেনকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১৪ এর সদস্যরা।