সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের ছাত্র সংগঠক মো. আমজাদ হোসেন (৭৮) ছিলেন আপাদ মস্তক দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও একজন আদর্শবান মানুষ। মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের আন্দোলন-সংগ্রামে তিঁনি সবসময় সামনে থেকে নেতৃৃত্ব দিয়েছেন। তাকে হারিয়ে দেশ একজন কৃতি সন্তানকে হারাল।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর মাঠে জানাাজা পূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা প্রয়াত আমজাদ হোসেন সর্ম্পকে এসব কথা বলেন।
বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড, মো, আখতারুজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার নূরল ইসলাম হিরো প্রমূখ।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পথে ব্রেনষ্টোকে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। (ইন্নালিল্লাহি…..রাজেউন)। তিঁনি স্ত্রী, আমেরিকা প্রবাসী এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে অবিভক্ত শেরপুর- জামালপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আমজাদ হোসেন। ১৯৭০ সালে শেরপুর কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন।
রোববার সকালে শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌরমাঠে আমজাদ হোসেনের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে। প্রিয় নেতার মুখ দেখে এদিন অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। জানাজার পূর্বে জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা পরিষদ, চেম্বার, রোটারী ক্লাব, শহর আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রয়াত আমজাদ হোসেনের কফিনে ফুল দিয়ে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজা শেষে শহরের চাপাতলী কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়।