নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী নানা ধরনের ষড়যন্ত্র,মিথ্যাচার ও সন্ত্রাসী হামলা করছেন বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন শেরপুর-১ সদর আসনে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: ছানোয়ার হোসেন ছানু । তিনি আজ দুপুরে নিউ মার্কেটস্থ নির্বাচনী কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ তুলেন।
তিনি বলেন, প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার কর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মীদের হামলা করে অন্তত ১০ জনকে আহত করেছেন। আমার কর্মীদের মোটর সাইকেল ভাংচুর, ট্রাক মার্কার নির্বাচনী কেন্দ্র করতে বাধা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি সদর উপজেলা্র চিহ্নিত কামারিয়া, রৌহা, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ও ধলা ইউনিয়নে সিল মারাসহ নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছেন।
ওইসব এলাকার আমার কর্মীরা নীরাপত্তহীনতায় ভূগছেন। নৌকার প্রার্থী বৈধ-অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করে ট্রাকের কর্মীদের হুমকি দিয়ে ভীতি প্রদর্শন করছেন। নির্বাচনে অবৈধ টাকা, কম্বল, শাড়ী, লুঙ্গীসহ উপঢৌকন দিয়ে ভোট নেয়ার চেষ্টা করছেন। নৌকার প্রার্থীর মেয়ে একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার অধীনস্থ কর্মচারীদের দিয়ে উঠান বৈঠকের নামে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে। কেউ প্রচারনা না করলে তাকে বদলীসহ নানা শ্বাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
ছানোয়ার হোসেন আরো বলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়র তারা নিজস্ব গাড়ীতে চলাচল করছেন, তারা সরকারী গাড়ী ব্যবহার করছেননা।
তিনি আরো বলেন, আমরা সুনামের সাথে ব্যবসা করি। যে কারণে শেরপুরের ১৫টি ব্যবসায়ী সংগঠন আমাকে সমর্থন দিয়েছে। তিনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে চাই। কামারিয়া, রৌহা, বেতমারী-ঘুঘুরাকান্দি ও ধলা ইউনিয়নের নিরপেক্ষ ভোট চাই। পুরো সদর আসনের ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণ ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন।
এসময় শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির নেতা আলহাজ্ব ইলিয়াছ উদ্দিন, শেরপুর জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলা মহিলা আওয়ামলীগের সভানেত্রী শামসুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ফারহানা পারভীন মুন্নীসহ আরো অনেকে আরো উপস্থিত ছিলেন।