শেরপুরে মজুরি বৃদ্ধির দাবীতে দর্জি শ্রমিকরা ধর্মঘট এবং সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা দর্জি শ্রমিক ইউনিয়ন। ২৪ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের নিউ মার্কেটস্থ নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা শহরে প্রায় ৪ শতাধিক দর্জি শ্রমিক রয়েছে। প্রতি বছর রমজান মাসে টেইলার্স মালিকগন নতুন করে মজুরি নির্ধারণ করার কথা থাকলেও গত দুই বছর যাবত কোন মজুরি বৃদ্ধি না করে টেইলার্স মালিকরা নানা টালবাহানা করে আসছে।
গত দুই বছর যাবৎ পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার চেয়ে শেরপুরে প্রতিটি কাজে গড়ে ২০ টাকা করে কম মজুরি দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মে থেকে সমিতি’র সকল সদস্য স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজে যোগ না দিয়ে ধর্মঘটে রয়েছে।
শহরের ৪২ টি টেইলার্সের মধ্যে মাত্র ৫টি টেইলার্স মালিক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করলেও বাকীরা কোন মজুরি বৃদ্ধি না করায় ওইসব টেইলার্সের শ্রমিকরা গত ৫ দিন যাবত কর্মস্থলে না গিয়ে ধর্মঘট পালন করছে। কিন্তু এতেও মালিকদের টনক না নড়ায় বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবির কথা সর্বমহলে জানাতে এবং সংশ্লিষ্ট সরকারী উদ্ধতন কর্তৃৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে একটি সার্টের শ্রমিক মজুরি দেওয়া হয় মাত্র ৮৩ টাকা। আর মালিকরা গ্রাহকের কাছ থেকে নেয় ৩২০ টাকা। একই ভাবে প্যান্টের শ্রমিক মজুরি ১৩৭ টাকা আর মালিক পায় ৪০০ টাকা, পাঞ্জাবি’র শ্রমিক মজুরি ১৩৫ টাকা আর মালিক পায় ৪০০ টাকা, মেয়েদের বিভিন্ন ডিজাইন অনুসারে জামা তৈরী করে শ্রমিকরা মজুরি পায় ৭৩ থেকে ১১০ টাকা এবং মালিকরা পায় ২০০ থেকে ৪০০ টাকা।
পাশ্ববর্তি জামালপুর জেলা শহরের মজুরি’র সাথে মিল রেখে শেরপুরে মজুরি বৃদ্ধির কথা থাকলেও গত দুই বছর যাবত মলিকরা মজুরি বৃদ্ধি করছে না। ফলে শত শত দর্জি শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে তারা জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মো.জাকির হোসেন। এসময় অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক আলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আজাহার আলীসহ ধর্মঘটে থাকা প্রায় অর্ধশত শ্রমিকবৃন্দ।
এদিকে দর্জি ধর্মঘটের কারণে অনেক টেইলার্সে এখন থেকেই ঈদের কাজ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানাগেছে।