শেরপুরে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করার প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বাস চলাচল বন্ধ করেন। ফলে ঈদফেরত ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়েন। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। তবে রাত পৌনে নয়টার দিকে বিষয়টির সমাধান করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের পর শেরপুরের বাস মালিকরা ঢাকাগামী যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছিলেন। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ বিকেল পাঁচটার দিকে শেরপুর শহরের গৌরীপুর এলাকার পৌর বাস টার্মিনালে অবস্থিত সোনার বাংলা পরিবহন সার্ভিসের কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে আদালত বাস-কোচ মালিক সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে টিকিট মাস্টার ফারুককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ঘটনার পরপর পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে যানবাহন দিয়ে শহরের খোয়াড়পাড় মোড়, পৌর বাস টার্মিনাল ও নবীনগর আন্তঃজেলা টার্মিনালে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। ফলে ঢাকাগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ ও বিপাকে পড়েছেন।
জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ছানুয়ার হোসেন বলেন, সকালে প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে ফ্রি টিকেট না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি বিনা কারণে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করেছেন। এ কারণে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চালানো বন্ধ রেখেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফ্রি টিকেট চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি ছানুয়ার হোসেনের উপস্থিতিতেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে একটি বাসকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বাস-কোচ মালিক ও পরিবহন শ্রমিক নেতারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে রাত পৌনে নয়টার দিকে সমাধান করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু।