শেরপুর জেলার পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অবসরপ্রাপ্ত, মৃত্যুবরণকারী নিকাহ রেজিষ্ট্রারদের ছেলে ও কতিপয় ভুয়া কাজী আইন মন্ত্রণালয়ের নিকাহ রেজিষ্ট্রার পদে নিয়োগ না পেয়েই কাজী অফিসের সাইনবোর্ড টানিয়ে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকগণ আইন অমান্য করে হলফ নামার মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বাল্য বিবাহ ও তালাক সম্পাদন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত কাজী অফিসে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে শেরপুর জেলা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতি। এতে সমিতির সভাপতি মো. মোহেবুল্লাহর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের ইবনে সালেহ। এ সময় কাজী মো. আবুজর আল আমীন, মো. আলমগীর হোসেন, আনোয়ারুল হক, সায়েম, শহিদুল্লাহ, আব্বাস উদ্দিন, আযহারুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, মোতাছির বিল্লাহ, নূর ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাজীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের ইবনে সালেহ বলেন, নিকাহ্ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ না পেয়েই মো. আব্দুর রাকিব সাইনবোর্ড টানিয়ে ও ফেসবুকে আইডি খুলে মো. আব্দুল হামিদসহ কতিপয় ব্যক্তিকে সহকারী নিয়োগ দিয়ে বাল্য বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করে আসছে। তিনি আরও বলেন, রাজু আহম্মেদ, মো. হারুনুর রশিদ, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ছামিদুল হক, মো. খাবিরুল ইসলাম, কাজী মো. আব্দুল হান্নান, মো. জাকির হোসেন, মো. রাসেল, অ্যাডভোকেট জমশেদ আলীসহ কতিপয় ব্যক্তি আরও সহকারী নিয়োগ দিয়ে বাল্য বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন কাজের সাথে জড়িত রয়েছে। এদের অনেকেই শিক্ষকতাসহ অন্যান্য পেশার সাথে জড়িত থেকে এবং অন্যের শিক্ষা সনদ ব্যবহার করে নিজের পিতা-মাতার নাম বদলিয়ে ভুয়া কাজী সেজে অবৈধভাবে আইনের কোনরূপ তোয়াক্কা না করেই অন্যায় ও অবৈধভাবে বাল্য বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন করে চলেছেন। তিনি ভুয়া কাজীদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করেছেন।