শেরপুর শহরের শ্রী শ্রী রঘুনাথ জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে আজ ২৪ ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ শেরপুর জেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সংস্কৃত শিক্ষা চালু, সকল বিদ্যালয়ে হিন্দু ধর্মের শিক্ষক নিয়োগ এবং হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের দায়িত্ব ব্রাহ্মণদের হাতে ন্যস্ত করার দাবী জানান।
এর আগে সকালে স্থানীয় সঙ্গীত শিল্পীরা জাতীয় সঙ্গীত ও রবীন্দ্র সঙ্গীত “আনন্দলোকে, মঙ্গলালোকে বিরাজ, সত্য সুন্দরও” গানটি পরিবেশন করেন।
এসময় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো.মোমিনুর রশিদ।
মানিক চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সম্মেলনে বরেণ্য অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ এর মহাসচিব শ্রী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রিয় সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শ্রী জয় শংকর চক্রবর্তী, সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাদল ও দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
অন্যান্যের মধ্যে পুরোহিত কল্যাণ পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, সাব্কে সাধারন সম্পাদক সঞ্জীত চক্রবর্তী সঞ্জু, শিক্ষাবিদ মদন চক্রবর্তী ও জীবন চক্রবর্তীসহ জেলার পাঁচ উপজেলার ব্রাহ্মণ সংসদের আহবায়ক ও সদস্য সচিবগণ বক্তব্য রাখেন।
জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশিদ তাঁর বক্তব্যে বলেন- পূজারী ব্রাহ্মণদের শুধু পূজা-পার্বণ করে দিন কাটালে চলবে না।
তাদের ধর্ম চর্চার পাশাপাশি আয়বর্ধক কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। ব্যবসা-বানিজ্য, তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। তা না হলে তারা পিছিয়ে পড়বে। এসময় তিনি দরিদ্র ব্রাহ্মণদের সকল ধরনের সরকারী সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সম্মেলনে দ্বিতীয় অধিবেশনে কবি কমল চক্রবর্তীকে সভাপতি ও শিক্ষক বিজয় কৃষ্ণ চক্রবর্তীকে সাধারন সম্পাদক করে শেরপুর জেলা কমিটি ও শিক্ষক মানিক চক্রবর্তী ও শিক্ষক বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্তীকে সাধারন সম্পাদক করে সদর উপজেলা ব্রাহ্মণ সংসদের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে জেলার পাচঁ উপজেলার দুই শতাধিক ব্রাহ্মণ ও পুরোহিত উপস্থিত ছিলেন ।