সদ্য জাতীয়করণ করা কলেজ শিক্ষকদের বিসিএস ক্যাডারে অন্তর্ভূক্ত না করা এবং জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের নিয়োগ বিধিমালার দাবিতে দুই দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করছেন শেরপুরের বিসিএস ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির শেরপুর সরকারী কলেজ ইউনিট ও শেরপুর সরকারী মহিলা কলেজ ইউনিটের ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা কলেজ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। দুই দিনের এই কর্মবিরতি শেষ হবে আগামীকাল সোমবার।
কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণকারী বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি, শেরপুর মহিলা কলেজ ইউনিটের সাধারন সম্পাদক নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের দাবী সুস্পষ্ট ও পরিষ্কার। জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের যদি শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে আত্তীকরণ করা হলে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি এটা মেনে নিবে না।
বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি, শেরপুর সরকারী কলেজ ইউনিটের সাধারন সম্পাদক আকরাম হোসাইন শেরপুর টাইমসকে বলেন, ক্যাডার বহির্ভূত রেখেই জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষকদের সরকারি চাকরিতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ রয়েছে। তাই কোনোভাবেই তাদের ক্যাডারভুক্তের সুযোগ নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতি, শেরপুর জেলা শাখার মুখপাত্র শিব শংকর কারুয়া বলেন, আমরা এর আগেও এই বিষয়ে বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় ভাবে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। সকল কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বিসিএস সাধারন শিক্ষা ক্যাডারে যারা যোগদান করবেন তাদেরকে অবশ্যই বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে এই ক্যাডারে আসতে হবে। এই দাবীতে আমরা সরব। এরপরেও যদি অন্তর্ভুক্ত করা হয় আমরা বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষনা দেবো।
এদিকে বিসিএস সাধারন শিক্ষা সমিতির এই কর্মবিরতিতে শিক্ষকরা কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কার্যক্রমে অংশ না নেয়ায় শিক্ষার্থীদেরকে ক্যাম্পাসে এসে ঘুরে যেতে দেখা গেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ও ডিগ্রি পাস কোর্সের পরীক্ষার্থীদেরকেও ফেরত যেতে দেখা গেছে।
শেরপুরের দুটি কলেজ ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষকদের এ কর্মসূচি পালনের কারণে কলেজ খোলা থাকলেও পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। নিজ নিজ কলেজের সামনে শিক্ষকরা সারিবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। দাবি আদায়ে আবারও আগামী ৬ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করবেন বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষকরা।