ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সিংহ পুরুষ, টঙ্ক, তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে মানুষের অধিকার আদায়ের আজীবন সংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বিপ্লবী রবি নিয়োগীর ১১৩ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে শেরপুরে। এ উপলক্ষে সাংবাদিক বিপ্লবী রবি নিয়োগী সভাকক্ষ পরিচালনা পর্ষদের আয়োজনে ৩০ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় শহরের নিউমার্কেট সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিপ্লবী রবি নিয়োগীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে স্মৃতিচারণামুলক আলোচনায় অংশ নেন লেখক-গবেষক অধ্যাপক ড. সুধাময় দাস, সাংবাদিক আব্দুর রহিম বাদল, জেলা মহিলা পরিষদ সভানেত্রী জয়শ্রী দাস লক্ষ্মী প্রমুখ। আলোচকরা বিপ্লবী রবি নিয়োগীর সারাজীবনের সংগ্রাম ও ত্যাগের মূল্যায়ন করে তাঁকে মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক কিংবা একুশে পদকে ভুষিত করে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানীত করার দাবী জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সভাকক্ষের সভাপতি সাংবাদিক সুশীল মালাকার।
অনুষ্ঠানে সভাকক্ষের পক্ষ থেকে রবি নিয়োগীর রাজনৈতিক সহচর সদ্য প্রয়াত ভ্যানচালক সেলিম মিয়ার স্ত্রীর হাতে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। পরে উদীচী শেরপুর জেলা সংসদের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
শেরপুর শহরের গৃর্দানারায়ণপুর মহল্লার জমিদার পরিবারে ১৯০৯ সালে জন্মগ্রহণকারী বিপ্লবী রবি নিয়োগী মানবমুক্তির লড়াইয়ের ধারায় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আন্দামান সেলুলার জেল সহ বিভিন্ন মেয়াদে ৩৪ বছর কারাভোগ করেছেন। ফেরারি জীবন কাটাতে হয়েছে আরও অন্তত: ১৫ বছর। ২০০২ সালের ১০ মে বিপ্লবী রবি নিয়াগীর সূদীর্ঘ কর্মময় জীবনের অবসান ঘটলেও তিনি মানবমুক্তির লড়াই-সংগ্রামে আলোকবর্তিকা হয়ে জ্বল জ্বল করছেন।
