কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল পালনকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে শেরপুরে। এ সময় পুলিশসহ বিএনপির প্রায় অর্ধশত কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের রঘুনাথ বাজার-নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ বিএনপির ১৬ কর্মীকে আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটক ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। এদিকে সংঘর্ষের পর আতঙ্কে শহরের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত এবং শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা তাঁতীদলের সমাবেশ শেষে ১৫ নেতা-কর্মীকে আটকের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। মঙ্গলবার বিকেল পৌণে ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের বাসা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রঘুনাথবাজার এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এসময় বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১০১ রাউন্ড শটগানের রাবার বুলেট ছুড়ে বলে দাবী পুলিশের।
তবে জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের দাবি, শান্তিপূর্ণভাবে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের উপর আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপির প্রায় একশ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। সেই সাথে সামনের দিনগুলোতে বিএনপির শান্তিপূর্ন কর্মসূচিতে অযাচিত এমন আক্রমন করলে তার দায়ভার পুলিশকেই নিতে হবে বলে গণমাধ্যমকে জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. হান্নান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বিক্ষোভ সমাবেশের নামে বিএনপি পরিকল্পিতভাবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের চেষ্টা করেছিল। এর অংশ হিসেবে বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি অশান্ত করে তুলেছিলেন। ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।