শেরপুরে আমন চাষাবাদে বাড়ছে বলন পদ্ধতি। পরিক্ষিত এই পদ্ধতিতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, বলনে ফলন বেশি, পাশাপাশি বন্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এজন্য এ পদ্ধতি জনপ্রিয় হচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, নিম্নাঞ্চলে বলন পদ্ধতিতে চাষ করে আমনের বাম্পার ফলন ঘরে তুলবে কৃষকরা।
জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, নকলা ও সদর উপজেলা। এসব উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পাহাড়ি ঢল আর ব্রক্ষ্মপুত্র, সোমেশ্বরী ও চেল্লাখালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা কবলিত হয়। এতে প্রতি বছর পানিতে ডুবে যায় আমন আবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ হন হাজার হাজার কৃষক।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, প্রথমে বীজ তলা থেকে দ্বিতীয় বীজ তলায় লাগানোর পর এ চারাগুলো অনেক শক্তি সঞ্চয় করে। পানিতে ডুবলেও নষ্ট হয় না। কান্ডের গঠনও ভাল হয়। পোকা ও রোগের আক্রমণ হয় না। তাই ফলনও ভাল হয়। ফলে ক্রমেই বাড়ছে এই বলন পদ্ধতিতে আমন চাষাবাদ। এই বলন পদ্ধতিকে অনেক এলাকার কৃষকদের মাঝে গাইছে পদ্ধতি নামে পরিচিত। কয়েক বছর যাবত বলন পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে ভাল ফলন ঘরে তুলেছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ জানায়, প্রথমে বীজতলা করে সাময়ীকভাবে আরেকটা জায়গায় লাগানো হয়। পরবর্তীতে চারাগুলো মূল জমিতে লাগানো হয়। এটি একটি বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কৌশল। কৃষকরা তাদের নিজস্ব প্রয়োজনে এই পদ্ধতিটা আবিষ্কার করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, জেলায় প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বলন পদ্ধতিতে আমনের চাষ হয়েছে। ইংরেজিতে এটির নাম ডাবল ট্রান্সমেন্টেশন। আমন চাষে বলন পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে।