নাঈম ইসলাম : শেরপুর জেলায় বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা পর্যন্ত ২১ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১১ জন ডেঙ্গু রোগী। ইতোমধ্যে নয়জন রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ী ফিরে গেলেও একজন রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্রত্যেকেই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে শেরপুরে এসে শনাক্ত হয়েছে। এদিকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়িত বৃদ্ধি পাওয়ায় নিয়ে আলাদা একটি ডেঙ্গু কর্ণার খোলা হয়েছে।
কসবা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান (৫৫), সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা, রাজন (৩৪), জঙ্গলদী এলাকার বাসিন্দা রাসুল মিয়া (২৪) বলেন, আমরা ঢাকা থেকে জ¦রে ভোগছিলাম। পরে সেখানে ডাক্তার দেখায়ে ঔষধও খাইছি। পরে বাড়িতে (শেরপুর) এসে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে ডেঙ্গু হয়েছে ডাক্তাররা বলেছেন। এখন বর্তমানে আমরা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছি।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবির সুমন শেরপুর টাইমসকে বলেন, বর্তমানে ফ্লুইড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে। স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সামনে ঈদের সময় ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে আসা লোকজনের চাপ বাড়বে। তখন ডেঙ্গু পরিস্থিতি হয়তো কিছুটা জটিল হতে পারে।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মোবারক হোসেন বলেন, মানুষের মতো ঢাকা থেকে গাড়ির মাধ্যমে যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এডিস মশা ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য সেখান (ঢাকা) থেকে ছেড়ে আসা সব গাড়িতে এডিস মশা নিরোধী স্প্রে করা প্রয়োজন।