শেরপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে শ্যামল চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক ছেলেকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম.এ নূর আসামীর উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত শ্যামল চন্দ্র দাস নকলা উপজেলার বাছুর আগলা গ্রামের মৃত জয়কান্ত দাসের ছেলে।
জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ আগস্ট রাত ৩টার দিকে শ্যামল চন্দ্র দাস ও তার বাবা জয়কান্ত দাস শেরপুর শহরের শীতলপুর এলাকায় মনজিত কুমার সাহার (মনো) ভাড়া করা ধানের খোলায় নৈশ প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। ওই সময় বেতনের ৪ হাজার টাকা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলে শ্যামল তার বাবা জয়কান্তের গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পরদিন সকালে ওই ধানের খোলা থেকে জয়কান্ত দাসের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নিহত জয়কান্ত দাসের অপর ছেলে সুভাষ চন্দ্র দাস বাদী হয়ে তার ভাই শ্যামল চন্দ্র দাসকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামী শ্যামল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থেকে শ্যামল জেলা কারাগারে আটক রয়েছে। ২০১৫ সালের ১৪ মার্চ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন আসামী শ্যামল চন্দ্র দাসকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, চিকিৎসক, জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
(শে/টা/বা/শা)