শেরপুরে জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েকদিন থেকেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। এতে লেপ তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোষক মেরামতে। এখন বাজার দখল করেছে রেডিমেট কম্বল আর ম্যাট্রেস, যার কারনে ব্যবসা আর আগেরমত নেই বলছেন বিক্রেতারা।
স্থানীয় ধুনকররা জানান করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের তুলনায় এবারের শীতে লেপ-তোষকের চাহিদা কম। তাছাড়াও এই অঞ্চলে এখনো ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে লেপ-তোষকের চাহিদা তেমন আসছেনা। আর শহরের লোকেরা রেডিমেট কম্বল, ম্যাট্রেস নেয়। তারা এখন লেপ তোষক ব্যবহার করেনা বললেই চলে। তবে শীতের প্রকোপ এমন থাকলে বেচাকেনা ভালই হবে, প্রত্যাশা ধুনকারদের।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর শহরের দোকানগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শীতের তীব্রতায় দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ধুনকাররাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পৌর শহরের আখের মামুদ বাজারের ধুনকার শামসুল হক বলেন, এ বছর একটি লেপ তৈরি করতে ১ হাজার টাকা থেকে ১৫শত টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। তোষক বানাতে খরচ পড়ছে ১৫শত টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। লেপ ও তোষকে বিভিন্ন ধরনের তুলা ব্যবহার করা হয়। এর দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। লেপের জন্য যেসব তুলা ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে রয়েছে কার্পাস তুলা, ফোম তুলা, ফাইবার তুলা, শিমুল তুলা এবং তোষকের জন্য বেøজার (গার্মেন্টস) তুলা ও উল।