“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দরিদ্রদের জন্য পাকাঘর, উপবৃত্তি, বয়স্ক, বিধবা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করেন। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা তা সমতার ভিত্তিতে বন্টন করেন না। ফলে সমতল ও পাহাড়ী এলাকার আদিবাসীরা সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির কার্যক্রমের সুবিধা পান না। দেশের নাগরিক হিসেবে এসব সুযোগ-সুবিধা আমাদের দিতে হবে। “চাকুরী ক্ষেত্রে আদিবাসি কোটা চালু রাখতে হবে।
১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে শেরপুরে বাংলাদেশ বর্মণ ছাত্র পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার বার্ষিক সম্মেলনে বর্মন ছাত্রনেতারা এসব কথা বলেন।
সকালে জেলা শহরের ট্রাক টার্মিনাল এলাকার কুসুমেশ্বরী শিব মন্দির কমপ্লেক্সে পবিত্র বর্মনের সভাপতিত্বে এ সম্মেলন প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্য।
ইন্দ্রজিত বর্মনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আদিবাসি নেতা সুমন্ত বর্মন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শেরপুর জনউদ্যোগ আহবায়ক শিক্ষাবিদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক কানু চন্দ্র চন্দ, যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মলয় চাকী, উদীচির সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল হান্নান, ডিসট্রিক্ট ডিবেট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ইমতিয়াজ চৌধুরী শৈবাল, নালিতাবাড়ী বনকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরন বর্মন, শেরপুর আদিবাসী সমাজ উন্নয়ন সমিতির নেতা মনিন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রীবরদী ট্রাইবাল নেতা বীরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ প্রমূখ ।
বক্তারা বলেন, জনদরদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য ভীষণ আন্তরিক। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে সংখ্যালঘু হতদরিদ্র মানুষ, মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তারা বলেন, জেলার প্রতিটি উপজেলায় বর্মণ সম্প্রদায়ের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে। একসময় এদের খুব ভাল অবস্থা ছিল। কিন্তু নানা ধরনের অত্যাচারে আজ তারা একপ্রকার নিঃস্ব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহাবান জানান বক্তারা।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে দুইজন ও সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থী হন। পরে আলোচনার ভিত্তিতে ইন্দ্রজিত বর্মন কে সভাপতি ও লক্ষণ বর্মন কে সাধারন সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। জেলা সদর, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে ২ শতাধিক বর্মণ ছাত্র সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।