শেরপুরে ফাঁসিতে ঝুলে সুজিনা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। ১১ মে শুক্রবার রাতে শহরের মোবারকপুর মহল্লায় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মিসকিন ওরফে হৃদয়ের বসতবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। শনিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতালে ওই গৃহবধূর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওই ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
তথ্য মতে, শেরপুর শহরের মোবারকপুর মহল্লার দুলাল মিয়ার ছেলে পিকআপ ভ্যানচালক হৃদয় প্রায় ৫ বছর আগে শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া এলাকার সবুজ মিয়ার মেয়ে সুজিনা বেগমকে বিয়ে করে। সংসার জীবনে তাদের ঘরে আসে সুজিব (৩) নামে এক সন্তান। কিছুদিন থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে বনিবনাট হচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার হৃদয় গাড়িচালনার কাজে বাইরে থাকাবস্থায় মোবাইলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রী সুজিনাকে মৌখিক তালাক দেয়। এ নিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সুজিনা। বিষয়টি উভয় পরিবারে জানাজানি হয়ে পড়লে শনিবার তা নিয়ে বসে আপোষের কথা-বার্তা হয়। কিন্তু সেই বসার আগেই স্বামী ও পরিবারের লোকজনের অগোচরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিশুপুত্রকে ঘুমে রেখে স্বামীর বসতঘরেই সিলিংফ্যানের সাথে গায়ের ওড়না জড়িয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সুজিনা। খবর পেয়ে রাতেই লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনকালে গৃহবধূর গায়ে কোন জখম দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে মোবাইলে স্বামীর দেওয়া তালাকের কারণেই সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। ওই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের পর পরবর্তী অবস্থা নির্ভর করবে।