‘ভালোর সাথে আলোর পথে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শেরপুরে জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সোমবার প্রথম আলো বন্ধুসভা, শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শেরপুর সরকারি কলেজ মিলনায়তনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসবের মধ্যে ছিল আনন্দ আয়োজন, আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও বন্ধুসভার সদস্যদের জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ছারওয়ার জাহান।
পরে শেরপুর বন্ধুসভার সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ছারওয়ার জাহান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. সুধাময় দাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, শেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া, সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, দুর্নীতি দমন কমিশনের সরকারি কৌঁসুলি মোখলেছুর রহমান জীবন, নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন ও শেরপুর বন্ধুসভার উপদেষ্টা মলয় চাকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর শেরপুর প্রতিনিধি দেবাশীষ সাহা রায়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সূর্য যেমন অন্ধকারকে দূর করে পৃথিবীতে আলো এনে দেয় তেমনি প্রথম আলো তার ছড়ানো আলো দিয়ে আমাদের সমাজকে আলোকিত করছে। প্রথম আলো দুর্নীতিমুক্ত, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনষ্ক একটি সমাজ বিনির্মাণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী আর নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার মাধ্যমে এটি দেশের একটি শ্রেষ্ঠ সংবাদপত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছে।
আলোচনা সভা শেষে শেরপুর সরকারি কলেজ সাংস্কৃতিক ক্লাবের সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেরপুর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক মাশুকুর রহমান মিশুক। বন্ধুসভার সকল সদস্য এতে সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানে কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় পাঁচ শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বন্ধুসভার একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে শেরপুর বন্ধুসভার পক্ষ থেকে শহরের বর্জ্য নিষ্কাশন কাজে সহযোগিতা করতে পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়ার নিকট দুটি ড্রাম হস্তান্তর করা হয়।