শেরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে মো. জুনুন তানভির (১৮) এবং আশরাফুল ইসলাম (২০) নামে দুই কলেজ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে।
তারা বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এদিকে,শহরে গুলি করা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদে ঘটনাস্থল শহরের সজবরখিলা মহল্লার ব্যবসায়ীরা দোকান-পাঠ বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।
হামলার শিকার তানভির এবং প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান ও অন্তর জানায়, ২৯ জুন শনিবার বেলা ২টার দিকে শেরপুর বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ও শহরের কাজী বাড়ি পুকুর পাড় মহল্লার মৃত. আলমগীর হোসেনের পুত্র মো. জুনুন তানভির তার দুই বন্ধুকে নিয়ে শহরের সজবরখিলাস্থ টিভিএস মোটরসাইকেল শো-রুমে মোটরসাইকেল মেরামত করতে যায়।
এসময় হঠাৎ করেই কলেজ ছাত্রলীগের একটি অংশের জহির নামে একজন পিস্তল এবং নয়ন, পাপ্পু, শাহীন, বাবুসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী লোহার এসএস পাইপ নিয়ে তানভিরের উপর চড়াও হয়।
এসময় জহিরের হাতে পিস্তল দেখে প্রাণভয়ে তানভির ওই শো-রুম থেকে দৌড়ে প্রধান সড়কের উপর দিয়ে পালাতে যায়। এ সময় জহির পেছন থেকে তানভিরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ডগুলি চালায়। কিন্ত সৌভাগ্যক্রমে তানভিরের গায়ে কোন গুলিবিদ্ধ না হলেও জহিরের সঙ্গে থাকা অন্যান্য কর্মীরা লোহার এসএস পাইপ দিয়ে বেধরক পিটিয়ে হাত-পা সহ পুরো শরীর ক্ষত-বিক্ষত ও রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়।
পরে তারভিরকে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে তানভিরের উপর হামলার পরপরই শহরের মিরগঞ্জস্থ শাহ কামাল (রা:) মাজারের সামনে আশরাফুল ইসলাম নামে আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারপিট করে আহত করে তারা।
এদিকে হামলার পরপরই শহরের সজবরখিলা মহল্লার বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী তাৎক্ষণিক সকল দোকান-পাঠ বন্ধ করে প্রধান সড়ক অবরোধ করে সমস্ত যানবাহন বন্ধ ও বিক্ষোভ-প্রতিবাদ মিছিল করেন।
সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানানোশেরপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। পরে ঘটনাস্থরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।
হামলার ব্যপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা জানায়,আমাদের ছাত্রলীগের কর্মীর উপর যারা হামলা করেছে তার দলছুট। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবী করি। এছাড়া সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করা হলে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলবো।
এদিকে, কলেজ ছাত্রলীগ অপর পক্ষের নেতা আব্দুল কুদ্দুস মোয়াজ জানায়, আহত তানভির ছাত্রলীগের কেউ নয়। তার সঙ্গে ছাত্রদলের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এদিকে,পুলিশ খবর পেয়ে শহরজুড়ে সন্ত্রাসীদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ওসি মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হামলার ঘটনাটি শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় একজন আহত হয়েছে, তবে কোন আগ্নেয়াস্ত্রের গুলি ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।