শেরপুরে পৃথক পৃথক ঘটনায় একদিনেই ৭ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় একই পরিবারের শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর বাগেরচর গ্রামের ভাই আমানুল্লাহ, বোন নাজমা ও বোনের মেয়ে লালমনি নিহত হয়। এনিয়ে ওই পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এলাকাতেও নেমে এসেছে প্রিয়জন হারানোর শোকের ছায়া।
এদিকে, সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নে অটোরিক্সা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মাঝপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম মারা গেছে এবং একই উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ধুপাঘাট এলাকার মৃগী নদীতে গোসল করতে গিয়ে ডুবে মারা গেছেন তানজিলা আক্তার নামের কিশোরী।নিহত তানজিলা স্থানীয় ইনসান মিয়ার মেয়ে।
এছাড়াও ডোবার পানিতে ডুবে সোমবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার গাগলাজানি গ্রামে আয়শা নামে এক দুই বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু হয়েছে।আয়শা গাগলাজানি গ্রামের আবেদ আলীর মেয়ে।
অন্যদিকে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের হরিণধরা পূর্বপাড়া গ্রামে বিকাল সাড়ে পাচঁটার দিকে বাড়ীর সামনে কাজ করার সময় ওই গ্রামের হান্নান মিয়ার স্ত্রী সুজেদা নামে এক গৃহবধু বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগের আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় ব্যপকহারে জানমালের ক্ষতি হচ্ছে । চালকভাইদের আরোও সচেতন হয়ে যানবাহন চালাতে হবে। প্রশাসনেরও এদিকে নজর রাখা উচিত অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে যেহারে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু হচ্ছে তাতে করে আমাদের অভিভাবকদের আরোও সচেতন হওয়া জুরুরি। সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়াও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ও বিদ্যুৎতায়িত হয়ে মারা যাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। সর্বপুরি জীবনমানে অস্থিরতা কমিয়ে স্বস্থির জীবন চালানোর দিকে নজর দেয়া অব্যশয় দরকার।