শেরপুরে পৃথক ঘটনায় বন্যার পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়ও এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে ওই তিন শিশুর মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো- সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া এলাকার খলিলুর রহমানের মেয়ে খুশি আক্তার (৬), চরমুচারিয়া ইউনিয়নের চরভাবনা এলাকার মোফাজ্জল মিয়ার তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে শামীম মিয়া (৭) এবং শেরপুর পৌর এলাকার উত্তর গৌরীপুর মহল্লার নায়েব আলীর ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান (১৩)।
এছাড়াও চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের নতুন ভাগলগড় গ্রামের সামেদুল ইসলামের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রুবেল হোসেন (১৩) দুপুরের পর থেকে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজ রয়েছে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা এ সব মৃত্যু ও নিখোঁজের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আকবর হোসেন বলেন, বাড়ি ঘরের চারদিকে বন্যার পানি। সেই পানিতে ডুবে শুক্রবার দুপুরের দিকে সাতপাকিয়া এলাকায় এক শিশু নিহত ও নতুন ভাগলগড় এলাকায় আরেকজন নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে দমকল বাহিনীর ডুবুরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অপরদিকে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর শহরের উত্তর গৌরীপুর মহল্লার মেহেদী তার বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পেছনে বন্যার পানিতে কলাগাছের তৈরি ভেলায় ঘুরতে যায়। ওই সময় হঠাৎ ভেলাটি উল্টে গেলে সাঁতার না জানায় ডুবে যায় মেহেদী। পরে তার বন্ধুদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মেহেদীকে ভেলার নিচ থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।