শেরপুরে পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা বলেছেন, ‘২০৪১ সালে উন্নত দেশ তৈরি করতে হলে দেশে পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করতে হবে। এ জন্য ১৮-১৯ বছর বয়সী একজন মায়ের গর্ভধারণ থেকে ১ হাজার দিন অর্থ্যাৎ শিশুর দুই বছর পর্যন্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিশ্চিত করতে পারলে যে শিশু ভ’মিষ্ট হবে সেটি হবে উন্নত বাংলাদেশ তৈরির জন্য উপযোগী শিশু। কোন কারণে যদি এ সময়ে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত না হয় তবে আরেকটি সুযোগ থাকে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের পুষ্টি নিশ্চিত করা। তাই এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এটি এখন থেকে এড্রেস করতে না পারলে যত যাই করি ২০৪১ সালে একটি কার্যকর জনগোষ্ঠী আমরা পাবো না।’
৩১ জানুয়ারি সোমবার জেলা প্রশাসক সভাকক্ষ রজনীগন্ধায় জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা ও বার্ষিক জেলা পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. জুবাইদা নাসরিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ডা. মো খলিলুর রহমান, বিএনএনসি’র পরিচালক ডা.তাহেরুল ইসলাম খান। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্য।
এর আগে জাতীয় পুষ্টি ও কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক উপস্থাপনা করেন ডা. নূসরাত জাহান, ডা. হাসনিন জাহান, ডা. ফজলে রাব্বী ও ডা. ফারজানা রহমান ।
কর্মশালার সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পুষ্টি নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিমাসে জেলার প্রতিটি উপজেলায় কিছুদিন পর পর পুষ্টি বিষয়ক পর্যালোচনা সভা করার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান। কর্মশালায় জেলার একটি গ্রামকে পুষ্টির মডেল গ্রাম করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান হয়।