মহামারি করোনাকালীন সময়ে মারা যাওয়া এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, শেরপুর জেলা সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল। গত ১২ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী-শ্রীরবদী) আসনের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেন তিনি। একই সঙ্গে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এর আগে করোনা শুরুর পর থেকে বিএনপি’র এ নেতা তার নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ১৫ হাজার অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তাও দেন তিনি।
ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওর্য়াড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মো. ছাবের আলী বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছি। গত সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাবেক এমপি রুবেল আমার খোঁজ-খবর নিতে বাড়ি আসে। শুনাম ওনি আরও অনেক অসুস্থ নেতা-কর্মীদেও বাড়ি যাচ্ছে। তার এমন কাজে জিমিয়ে পড়া তৃণমূলের নেতা-কর্মীরদের মাঝে উচ্ছ¦াস জাগছে।’
উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘গত ২ সপ্তাহে ঝিনাই উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীর বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ-খবর নেওয়াসহ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল ভাই।’
শ্রীরবদী উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন দুলাল বলেন, ‘লকডাউন শেষ হওয়ার পর থেকে শ্রীরবদী উপজেলায় কমপক্ষে ২০ জন নেতা-কর্মী অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ-খবরসহ চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছেন রুবেল ভাই।’
শেরপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, শত নির্যাতন সহ্য করে বিএনপি’র তৃণমূল কর্মীরা এগিয়ে যাচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে অনেক নেতা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাসের জন্য অনেকের জানাযা নামাজে উপস্থিত হতে পারিনি আমি। তাই তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাসহ পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এছাড়া অনেক নেতা-কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকায় তাদের খোঁজ-খবর নিতেও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএনপির এ নেতা।