বহুল আলোচিত শিশু আদরজানের রাজকীয় আগমন হয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। জাতীয় সংসদের সংরিক্ষিত মহিলা সাংসদ ও শেরপুরের শ্রমিক কন্যা খ্যাত এ্যাডভোকেট ফাতেমাতুজ্জোহুরা শ্যামলীর ৭ মাস বয়সের শিশু কন্যা নামটি মা-বাবার নাম ও পেশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে রেখেছেন আনিসা ফাতেমা সংসদ ওরফে “আদরজান”।
এই আদরজানের আজ ৬ মার্চ মঙ্গলবার প্রথম নানু’র বাড়িতে আগমন উপলক্ষ্যে হাতি, ঘোড়া ও গাড়ীর বহর নিয়ে রাজকীয় আগমন ঘটে ।
এসময় রাস্তার দুই পাশে উৎসুক জনতা বহুল আলোচিত আদরজান এবং তার মা সাংসদ ফাতেমাতুজ্জোহুনা শ্যামলীকে এক নজর দেখতে ভীড় করে। আদরজানকে বয়ে নেওয়া গাড়ি’র হুড খুলে সাংসদ শ্যামলী আদরজানকে নিয়ে দু’হাত নেড়ে উৎসুক জনতাকে শুভেচ্ছা জানায়।
গোপালগঞ্জের বধূ ও শেরপুরের বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা প্রয়াত সেলিম রেজার কন্যা ফাতেমাতুজ্জোহুরা শ্যামলীর একমাত্র শিশু কন্যা আদরজান এর জন্ম আমেরিকায়। আদরজানের বাবা যশোর জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান (পিপিএম বার)। আদরজানের জন্মের পর এই প্রথম নানা বাড়ি শেরপুরে আগমন করে ৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে। মা-মেয়েকে অভ্যর্থনা দিতে হাজারও মানুষ জেলার নকলা উপজেলা শহরে দুপুর থেকে অপেক্ষা করে।
এদিকে নকলা উপজেলা সদর থেকে শেরপুর শহরের ঢাকলহাটিস্থ সাংসদ শ্যামলীর বাবার বাড়ি পর্যন্ত বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রায় ৪০টি তোড়ণ নির্মান করা হয়।
সেইসাথে আদরজান ও তার মাকে অভ্যর্থনা জানাতে একটি হাতি, ২৫ টি ঘোড়া, প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল এবং শতাধিক প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস, ট্রাক এর বহর ব্যবহার করে রাজকীয় সংবর্ধনা জানিয়েছে বলে সাংসদ শ্যামলীর ঘনিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে ।
আদরজানের মা সংসদ সদস্য শ্যামলিও প্রায় দুই বছর ধরে নানা ঝামেলায় বাবার বাড়িতে আসতে পারেনি। স্থানীয়রা বলছে, এই মহা আয়োজনের মধ্যদিয়ে মেয়ের যেমন আগমন ঘটেছে, তেমনি মায়েরও রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে।
এদিকে আদরজানের জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৮ মার্চ বুধবার। সেদিন শেরপুরের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে দুপুরে প্রীতি ভোজের দাওয়াত করা হয়েছে। এই দোয়া উপলক্ষে শ্যামলীর শহরের বাড়ীর ঢাকলহাটি পুরো অঞ্চল ব্যপক লাইটিং ও সাজানো হয়েছে।
অপরদিকে আদরজানের আগমন নিয়ে সৃষ্ট শো-ডাউন নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে চলছে তুমুল আলোচনা ও সমালোচনা। এই আগমন ও প্রত্যাবর্তনের আসল ঘটনা কি তা জানতে আরও ৩ থেকে ৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, মূলত আদরজানের নানা বাড়ি আগমন এবং এখানে ৮ মার্চ আদরজানের জন্য দোয়া ও প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সাংসদ শ্যামলীর প্রয়াত বাবা শ্রমিক নেতা সেলিম রেজার নাম ও খ্যাতি এবং নিজে সাংসদ হওয়ার সুবাদে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষকে প্রীতিভোজের জন্য দাওয়াত করা হয়েছে।
এই আগমন ও প্রীতিভোজে কোটি টাকার উপর খরচ হবে এবং এই খরচ আদরজানের দুই মামা শিল্পপতি আরিফ রেজা ও শুভ রেজা দিবেন বলে জানা গেছে। জেলাবাসি তার আগমনকে রাজকীয় আগমন বলে আখ্যায়িত করেছে।
উল্লেখ্য, আদরজানের নিয়ে সম্প্রতি তার মা সাংসদ শ্যামলী এবং বাবা এসপি আনিসুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেছেন। সেসময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আদরজানকে কোলে নিয়ে আদর করার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক তোলপাড় হয়।