শেরপুরে দুই চিকিৎসক ও এক ওসিসহ নতুন করে ছয় করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ১৫ জন করোনা রোগী সনাক্ত হলো। এ ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফসহ জেলার ৩২ স্বাস্থ্যকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে এসব নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে প্রথম করোনা সনাক্ত হওয়া দুই নারী ইতোমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
সিভিল সার্জন জানান, জেলার নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই মেডিকেল অফিসার, ঝিনাইগাতী থানার ওসি, সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালক, সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক ও নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক পোষাককর্মীর নতুন করে করোনা সনাক্ত হয়েছে। করোনা সনাক্ত হওয়া ছয়জনকেই রাতেই আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা সদর হাসপাতাল ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে ঝিনাইগাতী থানার ওসির সাথে দায়িত্বপালনরত সকলকেই হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা পুলিশ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, ‘শুক্রবারের রিপোর্টে ছয়জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাদের সকলকেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। যেহেতু সদর হাসপাতালের এম্বুলেন্স চালক, সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহায়ক করোনা সনাক্ত হয়েছে এজন্য আমি ও জেলার ৩২ স্বাস্থ্যকর্মী হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম বলেন, ‘ঝিনাইগাতী থানার ওসি যেহেতু করোনা সনাক্ত হয়েছে, সেহেতু তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আর ওসির সাথে দায়িত্বপালনরত সকলকেই হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে ঝিনাইগাতী থানার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’