চিরায়ত বাংলা নাটক মঞ্চায়নের ধারাবাহিকতায় কাজী নজরুল ইসলামের জনপ্রিয় শিল্পী নাটকের কারিগরি মঞ্চায়ন হলো শেরপুরে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে নাট্যকার ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল জাবিরের নির্দেশনায় নাটকটির কারিগরি প্রদর্শনী সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও শেরপুর শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় খুব শিঘ্রই নাটকটির মূল প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। এ নাটকে এক যুগ পর মঞ্চে ফিরছেন শেরপুরের পরিচিত গণমাধ্যকর্মী ইমরান হাসান রাব্বী। ২০১১ সালের পর এবার নাট্যকার ও নির্দেশক আল জাবিরের হাত ধরে আবারো মঞ্চে আসছেন তিনি। তার সহশিল্পী হিসেবে লাইলী চরিত্রে নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিনা রহমান ও চিত্রা চরিত্রে রয়েছেন সুইটি মন্ডল।
নাট্যকার আল জাবির এর নির্দেশনা মোতাবেক নাটকটির সেট ডিজাইন, কোরিওগ্রাফি, লাইটিংয়ের কাজ করছেন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের নাট্যকলা ও চারুকলার শিক্ষার্থী। আগামী ৬ অক্টোবরের নাটকটি মূল মঞ্চায়নের কথা রয়েছে। নাটকে চিত্রকরের জীবনের তিনটি সময়ের দৃশ্যায়ন করা হবে। একই সাথে লাইলী ও চিত্রার সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্পও ফুটিয়ে তোলা হবে মঞ্চে।
প্রদর্শনীতে নাট্যকার আল জাবির, জেলা কালচারাল অফিসার আতিকুর রহমান, পুলিশ লাইন্স স্কুলের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, জেলা ক্রিড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানিক দত্ত, গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক রফিক মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলম, ছড়াকার নূরুল ইসলাম মনি, কবি রাবিউল ইসলাম, কবি খালিদুর রহমান, সাংবাদিক জাহিদ হাসান খোকন, মেহেদী হাসান শামীম, শেরপুর ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এসএম জুবায়েরসহ শেরপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য এবং শেরপুরের গণমাধ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।