শেরপুরে দলিত ঋষি সম্প্রদায়ের বসতভিটা দখল চেষ্টা ও মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবীতে ৮ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে জেলা শহরের বসবাসরত ৫ শতাধিক ঋষি সম্প্রদায়ের লোকজন অংশগ্রহন করে। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জেলা সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আখতারুজ্জামান, জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক সোলায়মান হক, মুক্তিযোদ্ধা ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি তালাপতুফ হোসেন মঞ্জু, প্রেসকাব সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, সমকাল প্রতিনিধি দেবাশীষ ভট্টাচায, ইটিভি প্রতিনিধি মো. শরিফুর রহমান, ট্রাইভাল নেতা মনিন্দ্র বিশ্বাস, পূজা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক প্রভাষক মলয় চাকী প্রমূখ। পরে ঋষি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলী মহল্লায় আড়াইশ দলিত ঋষি পরিবার বসবাস করত। ১৯৯২ সালে ঋষিদের ১২ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত একটি হরিমন্দির পুলিশ সদস্য আব্দুর রউফ দখল করে এবং পরে ভ’য়া দলিল বানিয়ে নিজের করে নেয়। এরপর প্রভাবশালী মহলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভিটেবাড়ী রেখে ঋষিপাড়া থেকে চলে যেতে বাধ্য হয় শতাধিক পরিবার। বর্তমানে সেখানে ১১০টি পরিবার বসবাস করে। সম্প্রতি জেলা জজশীপের গাড়ী চালক নূরল ইসলাম ভূয়া দলিল করে জ্ঞানেন্দ্র ঋষির পরিবারকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে। এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে বেদখলী মন্দিরটি ঋষিদের সম্পত্তি এমন রায় হওয়ার পর ঋষিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এমনকি তাদের জীবননাশের হুমকিও দিচ্ছে প্রভাবশালী মহল। এসব ঘটনার প্রতিকার করতে দ্রুত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ জানান হয়। স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় “যদি ঋষিদের পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করা হয় তাহলে তাঁরা আত্মঘাতি হতে বাধ্য হবে।