ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুর গড়ে তোলার অংশ হিসেবে শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের ৫ ভিক্ষুককে ত্রাণের টাকা দিয়ে ৫টি টিনের ঘর তৈরি করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার ঘরগুলো ভিক্ষুকদের কাছে হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন।
ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবিএম এহছানুল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক এআরএম ওয়াহিদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ পরিবহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়। সে টাকা থেকে কিছু টাকা এবং অন্য একটি ফান্ড থেকে কিছু টাকা নিয়ে এক লাখ টাকা দিয়ে সিমেন্টের খুঁটি ও লোহার জানালা সন্নিবেশিত করে ৫টি টিনের ঘর তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, চরাঞ্চলের নদীবেষ্টিত হতদরিদ্র ৫ ভিক্ষুককে ওই ঘর দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ভিক্ষুকমুক্ত শেরপুর গড়তে ওই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টিনের ঘর পেয়ে উল্লসিত জঙ্গলদি গ্রামের ভিক্ষুক সাহিদা বেগম (৬০) ও সাহেরা বেগম (৬২) বলেন, প্রায় ২০ বছর ধইরা ভিক্ষা কইরা খাই। আমগরে ঘর আছিল না। পলিথিন দিয়া বানানো ঘরে থাকতাম। খুব কষ্ট অইতো। ডিসি সাহেব টিনের ঘর কইরা দিছে। আইজ ঘরে উঠলাম। খুব ভালো লাগতাছে। ডিসি সাহেব কইছে, আমগরে সেলাই মেশিন ও টাকা দিব। আমগরে পোলাপাইন সেই মেশিন দিয়া সেলাই কইরা যে টাকা পাব তাই দিয়া আমগরে খাওয়াবো। আমরা আর ভিক্ষা করমু না।