শেরপুরে দারুল আমান নেছারিয়া ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদরাসার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দিনব্যাপী জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়।
এ প্রতিযোগীতার আয়োজক ছিলেন জাফর আহমাদ, প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাদরাসাতুল আতফাল আল ইসলামিয়া, উত্তর নবীনগর, শেরপুর এবং মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল দারুল আমান নেছারিয়া ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসা, গৌরীপুর, শেরপুর।
এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহন করেন। প্রতিযোগীতাটি দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রথম ধাপে কুরআনের ৫ পাড়ার অংশগ্রহণকারী ৬৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ১০ পাড়ার অংশগ্রহণকারী ৫৮ জন।
প্রথম ধাপের বিজয়ী ১০ জনকে নিজ জেলায় পুরষ্কৃত করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের বিজয়ী ১০ জনের মধ্য ৯ জনকে নিজ জেলাতেই পুরষ্কৃত করা হয়। দ্বিতীয় ধাপের বিজয়ী ১০ জনের প্রথম জন হলো ইবনে জাহিদ (সানি)। তার বয়স ১০ বছর। তাকে ইয়েস কার্ড প্রদান করা হয় এবং সে জাতীয় পর্যায়ে সারাদেশের বিজয়ী প্রতিযোগীদের সাথে ঢাকায় প্রতিযোগীতা করার সুযোগ পায়। সেইসাথে বিজয়ী সানিকে আগামী ২০২১ সালে রমজান মাসে টেলিভিশনে কুরআন তিলওয়াত করার সুযোগও প্রদান করা হয়। এ প্রতিযোগীতার বিচারগণ ছিলেন, শায়েখ কারী সাইদুল ইসলাম পারভেজ (চেয়ারম্যান ভয়েজ অফ আল কুরআন), মাওলানা গোলাম কিবরিয়া আল মুসলিম (সেক্রেটারি ভয়েজ অফ আল কুরআন), হাফেজ মাওলানা ওমর ফারুক (সেক্রেটারি ইশা আতুল কুরআন ফাইন্ডেশন বাংলাদেশ।
শেরপুর জেলায় এতো সুন্দর কুরআন প্রতিযোগীতার আয়োজন করার জন্য জেলাবাসী আনন্দিত ও গর্বিত বলে সচেতন মহল জানান। এ বছরের ন্যায় প্রতিবছর যেন এ প্রতিযোগীতার আয়োজন যেন আরোও ব্যাপক হারে করা হয় এই আশা ব্যক্ত করেন তারা।
এসময় আয়োজকগন পরবর্তীতে এ প্রতিযোগীতার আয়োজনে জেলার সকল গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করেন।