শেরপুর সদর উপজেলায় কনিকা নামে এক সন্তানের জননীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কনিকা সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের সুমন মিয়ার স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন মিয়া ও শ্বশুর আব্দুর রশিদ পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানায়, এলার্জির ওষুধ লাগানোর জন্য সন্ধ্যায় নিজ ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূ। দীর্ঘ সময়ের পরও ঘর থেকে বের না হওয়ায় ঘরের দরজা খুলে দেখা যায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে আছে কনিকা। পরে গৃহবধূর শাশুড়ির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ওড়না কেটে মরদেহ নিচে নামানোর পর তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাত ১১টা দিকে মরদেহ থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার পর রাত দেড়টার দিকে র্যাব-১৪ জামালপুর ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতের শাশুড়ি বলেন, ‘আমি গোসল করতে যাই। গোসল শেষে কনিকাকে আমি অনেক ডাকাডাকি করি, কিন্তু কনিকা কোনো কথা বলে না। পরে দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে গিয়ে দেখি কনিকা ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। পরে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় কনিকাকে মাটিতে নামিয়ে দেখি কনিকা আর নেই।’
শেরপুর সদর থানার এসআই মো. রুবেল মিয়া বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।