গারোদের বিশ্বাস, ‘মিসি সালজং’ বা শস্য দেবতার ওপর নির্ভর করে ফসলের ভালো ফলন। এই শস্য দেবতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ও নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতির পাশাপাশি ‘পরিবারে ভালবাসা, ম-লীর আনন্দ, সব পরিবারের মঙ্গল কামনা করে’ এ বছরে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গারো সম্প্রদায়রা পালন করেছেন ওয়ানগালা (নবান্ন) উৎসব। আজ (২৫ নভেম্বর) দিনব্যাপি উপজেলার দুধনাই গ্রামের মরিয়মনগর সাধু জর্জ ধর্মপল্লীতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
মিশনের পাল পুরোহিত ফাদার সুবল কুজুর সিএসসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও প্রার্থনা পরিচালনা করেন করেন পবিত্র ক্রুশ যাজক সংঘ বাংলাদেশ এর প্রভিন্সিয়াল ও খামাল ফাদার জেম্স ক্লেমেন্ট ক্রুশ, সিএসসি।
সকালে প্রধান অতিথিকে কুতুব পড়িয়ে এবং খ্রীষ্ট পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এসময় গারোদের ১৩ টি গোত্রের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল এনে খ্রীষ্টের নামে উৎসর্গ করেন। এরপর উপস্থিত সকলকে থক্কাদান (কপালে নতুন ধানের চালের গুরো দিয়ে ফোঁটা দিয়ে আশির্বাদ) শেষে গির্জায় ভেতর প্রার্থনা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সাল থেকে মরিয়মনগর সাধু জর্জ খ্রীষ্টান মিশনের উদ্যোগে এখানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা হচ্ছে। একসময় গরোরা তাদের ফসল দেবতা মিসি সালজং কে উৎসর্গ করে এ উৎসব পালিত হলেও বর্তমানে তারা খ্রীষ্টান ধর্মে ধিক্ষিত হওয়ায় তারা এখন খ্রীষ্ট পর্বের (খ্রীষ্টান ধর্মীয় মতে) মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান পালন করেন।