খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি জনসাধারণের পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে শেরপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহোযোগীতায় বিংগস প্রকল্পের আওতায় হারভেস্টপ্লাস এর উদ্যোগে জিংক ধানের উপর আলোচনা সভা ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া বাজার এলাকায় এ আলোচনা সভা ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চরমোচারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সজল । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুর জেলার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সুলতান আহাম্মেদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শেরপুর সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইসরাত জাহান সুইটি, হারভেষ্টপ্লাস বিংগস প্রজেক্ট এর কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মো: হাবিবুর রহমান খাঁন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, হারভেষ্টপ্লাস এর প্রজেক্ট অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আজিজুল হক। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন হারভেষ্টপ্লাস এর সুপারভাইজার মো: নাজমূল হুদা ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জিংক ধানের ভাত খেলে ছেলে মেয়েরা খাটো হয়না, ক্ষুদা মন্দা দূর এবং শিশুদের মেধা বিকাশ হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গর্ভবতী মা ও কিশোর কিশোরীদের শারিরীক দুর্বলতা হয়না। যেহেতু জিংক সমৃদ্ধ ধান উচ্চ ফলনশীল এবং এর মধ্যে উচ্চ মাত্রায় জিংক আছে, তাই বক্তারা এই ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণ ও এর ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় ২৫০ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে ৪ কেজি করে বিএডিসি’র ভিত্তিবীজ বিতরণ করা হয়।
আয়োজক সংস্থা জানায়, শেরপুর জেলায় চলতি ২০২১-২০২২ বোরো ও রবি মৌসুমে, ৭১৫০ জন কৃষক-কৃষানীদের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ধান ও গম বীজ বীনামূল্যে বিতরণ করা হবে।