শেরপুরে ছামেদুল হক কেনা (৬৫) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছামেদুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ছামেদুল হক কেনা (৬৫) চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা নামাপাড়া এলাকার মৃত সায়েদ আলী মন্ডলের ছেলে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কৃষক ছামেদুল হক কেনার সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন ও সিদ্দিক খলিফার সঙ্গে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে ওই জমিতে কলাগাছ লাগাতে যান হারুন ও সিদ্দিকসহ তাদের লোকজন। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ছামেদুলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও খেতের পানিতে চুবিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ছামেদুলকে উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে পারভেজ, ছোট ভাই ফজলুল হকসহ তিনজন আহত হন।
ছামেদুলের ছেলে পারভেজ বলেন, ‘আমার বাবা-চাচাদের স্বত্ব দখলীয় জমি কোনো কাগজপত্র ছাড়াই জোর করে দখল করতে গিয়েছিল হারুন ও সিদ্দিকরা। তাদের বাঁধা দিতে গিয়েই খুন হয়েছেন আমার বাবা। আমাদের মারধর করে আহত করেছে।’ বাবা নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তি দাবি করেছেন পারভেজ।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলার সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহসানুল মতিন সৈকত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ছামেদুল হকের মৃত্যু হয়েছে।