শেরপুরের ঝিনাইগাতীর ১নং কাংশা ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জহুরুল হকের বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সেই সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে কাংশা ইউনিয়নের গুরুচরণ দুধনই বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জহুরুল হক।
তিনি বলেন, গত ২৫ নভেম্বর দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় আমার বিরুদ্ধে সংবাদ। সেই সংবাদ আমার নজরে আসলেও সংবাদ দুটির কোন সত্যতা নেই। কারণ মনগড়াভাবে সংবাদ দুটি প্রকাশিত হয়েছে। কে-বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্য অভিযোগ এনে পত্রিকার মাধ্যমে প্রকাশ করেছে আমি জানি না। তবে আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট, ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। তাই আমি এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমি অব:প্রাপ্ত সেনা সদস্য। ১৯৮৪ সাল হইতে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী করেছি। চাকুরী শেষে অবসরে আসার পর থেকেই আমি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরি। পরে আমি কাংশা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাই। এরপর ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন সময়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করি। এরপর থেকেই একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তার বাবা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশাহ জানান, জহুরুল ইসলামের বাবা আবুল হোসেন কাংশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
বাবা বিএনপি করলেও তিনি শুরু থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এছাড়াও কে বিএনপি করলো, সেটা দেখার বিষয় নয় বা এব্যাপারে তার কোন দায়িত্ব নেই বলে তিনি জানান জহুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক আলহাজ্ব মো. ছমির উদ্দিন সরকার, আব্দুল মুন্নাফসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।