করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় এবং সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার জনসাধারণের স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষে নতুন বিধি-নিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে নতুন বিধি নিষেধের ব্যাপারে জানানো হয়। শুক্রবার(১১ জুন) সকাল ৬ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর জেলাধীন শেরপুর পৌরসভা এলাকায় করোনাডাইরাসের সাম্প্রতিক সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকিসম্পন্ন গণ্য করে আগামী ১১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয় ।
বিধিনিষেধগুলো হচ্ছে- করোনায় আক্রান্তের বাড়ি পুরোপুরি লকডাউনে থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক স্পট, পর্যটন ও পার্কসমুহ বন্ধ থাকবে। সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপার্ট খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ওইসব দোকানপার্ট ও স্বপিংমলকে বন্ধ করে দেয়া হবে।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল সাতটার মধ্যে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। হোটেল রেস্তোরাঁয় কেউ বসে খেতে পারবে না। শুধুমাত্র পার্সেল দিতে পারবে। সিএনজি, অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনে দুই জনের বেশী যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীবাহী যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। আর সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত মাসের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ। জেলায় মে মাসে ৬৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর জুন মাসের প্রথম ১০ দিনেই ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।