‘মুজিব বর্ষের মূলমন্ত্র, কমিউনিটি পুলিশিং সর্বত্র’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শনিবার (৩১ অক্টোবর) শেরপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে এ বছর সীমিত আকারে দিবসটি পালিত হয়। দুপুরে পুলিশ লাইন্স একাডেমী অডিটরিয়ামে এদিন এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদূল হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় দিবসের তাৎপর্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক দেবাশীষ ভট্টাচার্য, নকলা উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং এর সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, শেরপুর পৌর শহর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সাধারন সম্পাদক কাজী মতিয়র রহমান মতি, নালিতাবাড়ীর বিলাল হোসেন চৌধুরী, ঝিনাইগাতীর বেলায়েত হোসেন প্রমূখ। সভায় কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য দুইজনকে আইজিপি পুরস্কার ও চারজনকে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম বলেন, সময় এসেছে আমাদের এখন চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন আনতে হবে। পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে। কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের আগাম তথ্য দিতে হবে। প্রতিটি গ্রামে মহল্লায় কারা মাদক ও দাদন ব্যবসায়ী কমিউনিটির লোকজন তা জানে। কারা স্ত্রীকে মারে। কার ছেলে মাদক খায় ও বিক্রি করে তা কিন্তু এলাকার সবারই জানা। কোন লোকটা ইফটিজিংয়ের সাথে জড়িত এবং কার কাছে অস্ত্র আছে, কে চরিত্রহীন এসব তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে। তাহলে পুলিশ আগাম ব্যবস্থা নেবে। এ কাজগুলো করলে গণধর্ষণের মত ঘটনা সহজেই ঘটবে না।