শেরপুরের বিভিন্ন রুটে চলছে এলপি গ্যাস চালিত সিএনজি। বাসা-বাড়িতে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার লাগিয়ে চালানো হচ্ছে যাত্রীবাহী তিন চাকার গাড়ি হিসেবে পরিচিত সিএনজি বা টেক্সী। তিন চাকার এই গাড়িগুলোতে জ্বালানী গ্যাস এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করা হলেও তা সংশ্লিষ্ট কারো নজরেই নেই।
প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের অনুপাতে শেরপুরে সিএনজি ফিলিং স্টেশন কম থাকায় তিন-চাকার গাড়ির মধ্যে রান্না-বান্নার এলপি গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চালকরা জানান, ঈদ মৌসূমে বৈধভাবে গ্যাস নিতে গেলে ৫ ঘন্টা থেকে সারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই নতুন সিষ্টেম চালু করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরপুর-ঝিনাইগাতী রোডের এক সিএনজি চালক শেরপুর টাইমসকে বলেন, ঈদের আগ পর্যন্ত ঝিনাইগাতীতে প্রায় ৩০ টি সিএনজিতে এলপি গ্যাস ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে খরচ একটু বেশি পড়লেও গ্যাস ফিলিং এর ঝামেলা পোহাতে হয়না।
সিএনজি চালক মমিন মিয়া শেরপুর টাইমসকে বলেন, প্রথমদিকে ১হাজার থেকে ১৫শ টাকা খরচ করে যেকোন সিএনজিতে এই এলপি গ্যাস লাইন করা যেতো। কিন্তু এখন আমরা নিজেরাই করি। এতে বাড়তি কোন টাকা লাগে না। ১টি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারে ১হাজার টাকা খরচ হয়। এতে করে ঝিনাইগাতী থেকে শেরপুর ২০ থেকে ২২ সিংগেল (৪০০ কিলোমিটার) যাতায়াত করা যায়। তবে এমনে গ্যাসে ২৫ থেকে ২৮ সিংগেল করা যেতো। একটু খরচ বেশি, তবে এলপি গ্যাসের মান ভালো থাকায় ইঞ্জিন ভালো থাকে।
সিএনজি যাত্রী ইউসুফ মিয়া বলেন, সিএনজি আসাতে ২০ কিলোমিটার রাস্তা (ঝিনাইগাতী-শেরপুর) এখন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট লাগে। ড্রাইভাররা নিজেদের প্রয়োজনে এখন এলপি গ্যাস লাগাচ্ছে। এটা কতটা ভালো বা ক্ষতিকর এটা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ। আর এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার যেভাবে সিটের পেছনে রাখে, এটা মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ।