শেরপুরে এবার ১৫১টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে শেরপুর সদরে ৬৬, নালিতাবাড়ীতে ৩৭, নকলায় ১৯, ঝিনাইগাতীতে ২০ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৯টি মণ্ডপ রয়েছে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে শেরপুরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার দুপুরে শহরের গোপাল জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি সুব্রত কুমার দে সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রিয় যুব ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কুমার বল এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় যুব বিষয়ক সম্পাদক ভজ গোপাল দেবনাথ।
সভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা পূজা পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রকাশ দত্ত, সহসভাপতি যাদব চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ সাহা, উপদেষ্টা হরিদাস সাহা, জীবন কৃষ্ণ বসু, প্রদীপ রঞ্জন দে, তাপস কুমার সাহা, দিলীপ কুমার পোদ্দার, দেবাশীষ সাহা রায়, দাতা সদস্য অধ্যাপক শিবশঙ্কর কারুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শরণ রায়, নারী বিষয়ক সম্পাদক রমা সাহা, গোপাল জিউর মন্দির কীর্ত্তণ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ সরকার, নকলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবজিৎ পোদ্দার, নালিতাবাড়ী উপজেলা কমিটির সভাপতি শিবু দে, সাধারণ সম্পাদক যোগেন চন্দ্র রায়, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাজন সরকার প্রমুখ।
সভায় বক্তারা সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ১৮ দফা নির্দেশনাগুলো মেনে পূজা-অর্চনা করার জন্য সকল মন্দির ও পূজামণ্ডপ কতর্ৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
সভায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন শাখার নেতৃবৃন্দ, উপদেষ্টা মণ্ডলী ও সদর উপজেলার সকল দুর্গাপূজা মণ্ডপের কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।