নাঈম ইসলাম : রাঙা বসন্ত এখন শেষের দিকে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই বসন্তকে বিদায় দেয়ার পালা। বাঙালির মহাপ্রার্বণ বৈশাখী উৎসবকে সামনে রেখে বেচাকেনা শরু হয়েছে শেরপুর শহরের বিপনী-বিতানগুলোতে। তবে বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি বলছেন বিক্রেতারা।
বৈশাখের রঙে রাঙাতে তৈরী হচ্ছে গোটা বাঙালী। লালসাদার পাশাপাশি অনেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্যও কিনছেন বৈচিত্রময় সব পোশাক। চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও এনেছেন আরামদায়ক ও নতুন ডিজাইনের পোশাক।
শহরের বিপনী-বিতানগুলো ঘুরে দেখা যায়, এবারের বৈশাখে তরুণদের চাহিদার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাবী, টি-শার্ট, ফতুয়া, গামছা। ফতুয়ায় বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী ঢোল, একতারার ডিজাইনগুলো এবার কিছুটা ব্যাতিক্রম।
বাঙালী বলে কথা, প্রাণের উৎসবকে রাঙিয়ে বরণ করবেনা, তা কি হয়- মোটেও না। পোশাকেও থাকতে হবে বাঙালীর ঐতিহ্য। তাই পোশাকেও চাই, বাঙালীর ঐতিহ্যের ছোঁয়া। হালকা লাল রংয়ের কাজ, আবার লাল সুতোয় কাঁচা রঙের সাথে সাদা কাপড়, লালের ছটায় বর্ণিল পাঞ্জাবীর চাহিদা একটু বেশিই।
বৈশাখ উপলক্ষে বিপনী-বিতানগুলোতে আরামদায়ক সুতি শাড়ি, সুতি কাপড়ের সালোয়ার কামিজ ও পাঞ্জাবির সরবাহ বেশি । পোশাকে লাল সাদার পাশাপাশি হলুদ, কমলা, কালো, মেরুন ও নীল রঙের প্রাধান্য রয়েছে। মেয়েদের পোশাকে ফুলেল প্রিন্ট ও হালকা সূতোর অ্যামব্রয়ডারির কাজ করা হয়েছে।
নারীদের শাড়ির আঁচলে ঝুল ও বিভিন্ন আল্পনার প্রিন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও ছেলেদের পাঞ্জাবিতে অ্যামব্রয়ডারি, এপ্লিকের কাজ ও ঝুল প্রিন্টের কাজ করা হয়েছে।
লাল সাদা রঙে বাচ্চাকে রাঙাতে শাহরিয়ার- মৌটুসী দম্পতি এসেছিলেন নিউমার্কেটের ইয়েস পয়েন্টে। শিশু মাহিনের পাশাপাশি নিজেদের জন্য কিনেছেন বাহারী রং আর ডিজাইনের দেশীয় পোশাক। কথা হয় অই দম্পতির সঙ্গে। শিশুটির মা’ মৌটুসী বলেন, আমরা উৎসব করতে পছন্দ করি। যখনই কোন উৎসব পাই তখন সবাই মিলে আনন্দ করতে চাই। নতুন জামা পড়ে বছরের নতুন দিন শুরু করতে চাচ্ছিলাম। আজ এসেছি নতুন জামা কিনতে। পরিমল বস্ত্রালয় থেকে শাড়ি কিনেছি। এখন জামা খুঁজছি।
বিক্রেতারা জানান, বৈশাখী বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। তারা বলেন, বৈশাখ উপলক্ষে ক্রেতারা আসছেন, দেখছেন। সময় হাতে আছে ভেবে অনেকেই এখনো আসেইনি। তবে আশা করছি আর কয়েকদিন গেলে ভালো বিক্রি হবে।