শেরপুরের একই স্কুলের ছয় ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ দুপুরে চরশেরপুর কবি নজরুল একাডেমিতে স্কুল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত অসুস্থ্যদের রোগ নির্ণয় করতে পারেনি চিকিৎসকরা। অসুস্থ্যদের মধ্যে নবম শ্রেণির কল্পনা, অষ্টম শ্রেণির বিলকিস, সীমা, পূর্ণিমা, সাথী ও ষষ্ঠ শ্রেণির দীপা।
স্কুল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, দুপুরে এসেম্বলির পর স্কুল চলাকালীন সময়ের হঠাৎ করেই নবম শ্রেণির ছাত্রী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পাশেই এক শিক্ষকের বাসায় রাখা হয়। পরে দশ মিনিটের ব্যবধানে ষষ্ঠ শ্রেণীর একজন, অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এতে স্কুলে আতংক ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তাদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ইয়ামনি, মনিরা জানান, হঠাৎ করে তাদের বন্ধবী কল্পনা মাটিতে পড়ে যায়। পরে স্কুলের শিক্ষিকা কামরুন্নাহার ও আমরা সবাই যায়। পরে গিয়ে দেখি কল্পনা মাটিতে পড়ে আছে। আমরা স্যারকে ডাক দিলে স্যার এসে কল্পনাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। কি কারণে যে এমন হয়েছে তা আমরা কেউই জানি না।
চরশেরপুর কবি নজরুল একাডেমির পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এসেম্বলির পর আমরা অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করি। কিন্তু হঠাৎ করেই শুনি একজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ে গেছে মাটিতে। পরে আমরা তাৎক্ষনিক গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপরই আরো কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পাঁচজন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করি। আলহামদুলিল্লাহ এখন সুস্থ্য আছে।
২নং চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সুরুজ বলেন, আমি ঘটনার শুনার পর ঘটনাস্থলে যাই এবং অসুস্থ্যদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি। আলহামদুলিল্লাহ এখন মোটামুটি সবাই সুস্থ্য রয়েছে।
শেরপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার খায়রুল কবির সুমন বলেন, অসুস্থ্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জ্ঞান ফিরলে বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে।