মহিউদ্দিন সোহেল / ইমরান হাসান রাব্বী : শেরপুরে উপনির্বাচনের অপহৃত সদস্য প্রার্থী খন্দকার কবীর হোসেনকে নিখোঁজের ২ দিন পর শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজার থেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে গেল রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা। আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি ওই প্রার্থী সাংবাদিকদের কাছে তার বক্তব্যে এমন তথ্য দেন । এদিকে চরশেরপুর ইউনিয়নের ওই ওয়ার্ডসহ শেরপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ চলছে।
সূত্রমতে, সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ও শেরপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য নজরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম সিরার মৃত্যুজনিত কারণে এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন । এই ওয়ার্ডে দড়িপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দশকাহনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন চলছে। মোট ভোটারের সংখ্যা তিন হাজার দুইশত চল্লিশ জন । এরমধ্যে পুরুষ ভোটার সতেরশ দুইজন আর নারী ভোটার এক হাজার পাচঁশত আটত্রিশ জন। দুপুর আড়াইটা নাগাদ দুই ভোট কেন্দ্র মিলিয়ে ৮০ শতাংশ ভোট গ্রহণের তথ্য জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারগণ।
এদিকে শেরপুর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এখানে মোট ভোটারের সংখ্যা ছয় হাজার সাতশত আটাত্তর জন । এরমধ্যে পুরুষ ভোটার তিন হাজার দুইশ ছত্রিশ জন আর নারী ভোটার তিন হাজার পাচঁশত বিয়াল্লিশ জন।
এব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম শেরপুর টাইমসকে বলেন, অপহৃত ওই মেম্বার প্রার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে । সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ভোট কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত কোন ধরণের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি । পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর , আশা করছি সুষ্ঠ ভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে।