যানজটমুক্ত শহর গড়ার লক্ষ্যে শেরপুরে জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। ওই অভিযানের অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা খোয়ারপাড় চৌরাস্তা মোড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ওইসময় উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন। অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাগণসহ পুলিশের লোকজন অংশ নেন।
জানা যায়, শেরপুর জেলা সদর থেকে জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ীসহ বকশীগঞ্জ, রাজীবপুর ও রৌমারীতে যাতায়াতের প্রধান মোড় খোয়ারপাড়। কিন্তু খোয়ারপাড় মোড়সহ শহরের বিভিন্ন মোড় বিশেষ করে নবীনগর, নতুন বাস টার্মিনাল, অষ্টমীতলা, থানামোড়, খরমপুর মোড়, কলেজমোড় এলাকার রাস্তার দু’পাশে দীর্ঘদিন যাবত গড়ে উঠেছে শত শত অবৈধ পাকা-কাঁচা স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে এক শ্রেণির ব্যক্তি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জায়গা দখল করে সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। পাশাপাশি রাস্তার উপর দোকানপাট বসিয়ে ফুটপাত পর্যন্ত হকার-দোকানীদের দখলে চলে যায়। ফলে মোড় ও রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়ায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার হারে প্রতিদিন বাড়ছে যানজট।
এতে যাত্রী সাধারণসহ সড়কপথে যাতায়াতকারী চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীদের বেড়েছে দুর্ভোগ। প্রতিদিন তাদের অপচয় হচ্ছে ব্যস্ততম মূল্যবান সময়ের একটি অংশ। ওই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানে এবার ফিরে এসেছে গতি। ফলে শনিবার জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে রাস্তার দু’পাশের প্রায় ৩শ মিটার জুড়ে থাকা অবৈধ স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম জানান, সড়ক ও জনপথের জায়গায় গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনকারীদের বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে। সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা থাকা অন্যান্য এলাকাতেও একই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।