শেরপুর সদরে গভীর রাতে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজাতে নিষেধ করায় মোহাম্মদ আলী ওরফে মিন্না শেখ (৫৫) নামে এক রিকশাচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক দল যুবক।
সোমবার (১ আগস্ট) ভোর রাতে শেরপুর পৌর শহরের পশ্চিম শেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ২ আগস্ট বুধবার তিনি মারা যান।
google news
Follow us on google news
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহম্মেদ বাদল বুধবার রাতে ঢাকা মেইলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
দুই সন্তানের জনক নিহত মিন্না শেখ ওই এলাকার মৃত আশ্রাফ আলী ওরফে পেতো’র ছেলে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বসির আহম্মেদ বাদল জানান, নিহত মিন্না শেখের বসত ঘরের পাশে এক দল যুবক উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্সে গান বাজাচ্ছিলেন। মিন্না শেখ তাদেরকে গভীর রাতে উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্সের গান বন্ধ করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক মিন্না শেখের ওপর হামলা করে তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে বুধবার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন ও সেকান্দর আলী জানান, রাতের শুরু থেকেই বখাটেরা সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিলেন। গভীর রাতেও সাউন্ড না কমানোয় মিন্না ভাই তাদের নিষেধ করে। পরে এ নিয়ে তাদের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোতালেবের ছেলে কবির (৫৫), কবিরের ছেলে রাজিব (৩৩) ও রাজন (২২), বাবুল মোল্লার ছেলে সোহান (২৮), মোজাম্মেলের ছেলে রবিউল করিম (৩২) ঘরে হামলা চালায় ও ভাইকে চাইনিজ কুড়াল ও রাম দা দিয়ে কোপ দেয়। এতে ভাইয়ের পেট কেটে ভুড়ি বের হয়ে যায়। পরে তারা ভাইকে কোচ (মাছ ধরার বিশেষ যন্ত্র) দিয়ে আঘাত করে। ভাইকে এই সন্ত্রাসীরা যেভাবে মেরে ফেললো, এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা লাইলি বানু (৭২) বলেন, আমার বাপরে এভাবে কুপাইয়া যারা মারলো, আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমার দুইটা নাতি আছে এডার (একটার) বয়স ৫ আরেডার (আরেকটা) বয়স ৮। এহন (এখন) তাদের দেখবে কে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহম্মেদ বাদল ঢাকা মেইলকে জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নিহতের স্ত্রী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।