শেরপুরে ঈদ পূণর্মিলনী উপলক্ষ্যে সৌখিন মৎস্য শিকারীদের বড়শিতে মাছ ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘ফিশিং টুগেদার’ শিরোনামে ৩০ জুন শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্য ৬টা পর্যন্ত শহরের গৃর্দানারায়নপুর এলাকার একটি পুকুরে এ মাছ ধরা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় বসবাসকারী শেরপুরের চার তরুণের স্থাপত্যকলা, নকশা ও নির্মাণ কৌশল উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান ‘বিয়ন লিমিটেড’-এ মাছ ধরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এতে শহরের প্রবীণ-নবীন চিকিৎসক-প্রকৌশলী-ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশাজীবীসহ অর্ধ-শতাধিক সৌখিন মৎস্য শিকারী অংশগ্রহণ করেন।
দিনব্যাপী মাছ ধরা শেষে সবচেয়ে বড় ও বেশী ওজনের মাছ ধরার জন্য তিনজনকে পুরষ্কার হিসেবে ক্রেস্ট এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়। এতে নেসলে বাংলাদেশ লি.-এ কর্মরত প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান রাজিব ও তার বন্ধু ইউরো ফার্মা লি. এর কর্মকর্তা দিদারুল হাসান রাজু যৌথভাবে প্রথম পুরষ্কার, ব্যবসায়ী জয়নুদ্দিন মাহমুদ জয় দ্বিতীয় পুরষ্কার এবং শেরপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ডা. এটিএম মামুন জোস তৃতীয় পুরষ্কার লাভ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা. এমএ বারেক তোতা, বিয়ন লি. চেয়ারম্যান আহকামুল হক তুনির অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করেন।
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও শেরপুর টাইমস ডটকমের প্রকাশক, শিল্পপতি আনিসুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন বাচ্চু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর খালেদ তরুন, ডিএফএ সভাপতি মানিক দত্ত, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রিকেট আম্পায়ার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হাকিম বাবুল, বিয়ন লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আমিন, পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বিয়ন লি.-এর চিফ অপারেটিং অফিসার মাহবুব রহিম জানান, আমরা আমাদের উদ্দেশ্য সাধনে সবাই একসাথে একই প্ল্যাটফরমে কাজ করতে পারি। এই ‘ফিশিং টুগেদার’ ছিলো একটি প্রতিকী আয়োজন। আমরা আমাদের প্রাণের শেরপুরকে গড়ে তুলতে কিভাবে একসাথে প্রচেষ্টা চালাতে পারি এটাই ছিলো আমাদের এই আয়েজনের মুল উদ্দেশ্য। শেরপুরের উন্নয়ন ভাবনায় ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও সৃজনশীল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিয়ন লি. দেশের বিভিন্ন কর্পোরেট অফিস, শিল্প-কারখানা এবং বাসাবাড়ী নির্মানে ও সাজাতে সর্বশেষ স্থাপত্য কলা, নকশা ও নির্মাণ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি সাশ্রয়ী বাজেটে ভোক্তার সর্বোচ্চ এবং কার্যকর ও উৎপাদনমুখী সেবা দেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। যে কারণে অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির প্রসার ও সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে এবং বর্তমানে দেশের ভেতরে অন্তত: ১০০ প্রকল্পে এর সেবাদান কার্যক্রম চলছে।