দিগন্তজোড়া চলছে ঈদ আনন্দ। ঈদের খুশিতে মাতোয়ারা সবাই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মেতেছে ঈদ আনন্দে। ঈদের ছুটিতে যেন বাঁধ ভেঙেছে শিশুেদের। তাই বায়না মেটাতে অভিভাবকরা শিশুদের নিয়ে ছুটছেন শহরের পৌর পার্কে।
নতুন সাজে নতুন রঙের ছটা লেগেছে শিশুপার্কের প্রতিটি রাইডে। লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে ঢুকতে হচ্ছে শিশু পার্কে। দোলনা, রেলগাড়ি, নাগরদোলা, স্লিপারসহ সব রাইডে শিশুদের দখল। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে ভিড়।
এদিকে শিশুপার্কের সামনে খোলা জায়গায় বসেছে হরেক রকমের শিশু পণ্যের পসরা। সেই সাথে যোগ দিয়েছে মৌসূমী ফুচকার দোকান। সন্ধ্যার দিকে এ যেন প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে।
দুপুরের দিকে ছয় বছর বয়সী মেয়ে সুমির বায়না মেটাতে তাকে শিশু পার্কে নিয়ে এসেছেন সুমন আহমেদ। তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় এমনিতেই ভিড় হয় তারপর বিকেলের দিকে শত শত মানুষ। সকালে রোদ বেশি থাকলেও এ সময় মানুষ কম থাকে তাই এসময়েই নিয়ে এসেছেন তিনি।
শিশু জ্বীমের অভিভাবক ব্যবসায়ী আসলাম আহমেদ। তিনিও মেয়ের বায়না মেটাতে এসেছেন শিশু পার্কে। তিনি শেরপুর টাইমসকে বলেন, শেরপুর শহরে শিশুদের বিনোদনের একমাত্র জায়গা হলো শিশু পার্ক। তবুও তেমন খোলামেলা নয়, নেই খুব বেশি রাইড। তাই শিশু পার্কই শহরের শিশুদের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা গরম উপেক্ষা করে শিশু পার্কে আসছেন। কেউ কেউ গরম এড়াতে সাথে করে ছাতা ও খাবারপানিও নিয়ে এসেছেন।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও বেশ ভীড় ছিল শেরপুরের ডিসি উদ্যানে। সব বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ডিসি উদ্যানও। সেখানে গিয়ে কথা হয় অভিভাবক হালিমা বেগমের সাথে। তিনি বলেন, ডিসি উদ্যান হতে পারে শিশুদের প্রথম পছন্দের জায়গা। তবে আরো কিছু রাইড যোগ করতে পারলে ভালো। তাহলে শিশু পার্কের চেয়ে অনেক বেশি দর্শণার্থী ডিসি উদ্যানে আসবে।